আরও পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তবীব মাহমুদকে অত্যাধুনিক ভিডিও ক্যামেরা উপহার দেবে আইসিটি বিভাগ একই সঙ্গে রানার পড়াশোনার খরচও বহন করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে। ‘ডিজিটাল ডিভাইস ও ইনোভেশন এক্সপো’তে এমনটাই জানিয়েছেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পলক জানান, ওদের প্রথম গানটি দেখে তবীবকে প্রশ্ন করি, এটি সাদাকালো কেন? ওর উত্তর ছিল, তার কাছে যে ক্যামেরা ছিল এর রেজ্যুলেশন এতটাই কম যে, ভিডিওটির কোয়ালিটি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তাই সাদাকালো করে দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বলব, এরপর থেকে তাদের গানের কোয়ালিটি আরও ভালো হবে। অল্প দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমরা একটি অত্যাধুনিক ক্যামেরা রানা ও তবীবকে উপহার দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, রানার মতো আর কোনও পথশিশু পথে যেন না থাকে, এজন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে রানার পড়াশোনার সব খরচ আমরা বহন করব। ওর যা লাগে, সবকিছু আমরা দেখব।’
‘গাল্লিবয়’ রানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘুরে বেড়ানো আর দশটা পথশিশুর মতোই ছিল। ছোট্ট এ শিশুটি দারুণ র্যাপ গান গায়। ক্যাম্পাসে ঘুরে ঘুরে গান শোনানোর বিনিময়ে ২-৫ টাকা চেয়ে নেয় মানুষের কাছ থেকে। এটাই ছিল রানার পরিচিতি। কথায় কথায় চলতি বছরের গেলো মে-জুন মাসের কোনও একদিন রানার সঙ্গে পরিচয় হয় ঢাবি শিক্ষার্থী তবীবের।